ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৮ - ইমাম মাহদী তথ্য

Breaking

আসসালামু আলাইকুম। ইসলামিক এই ব্লগে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে বেশি বেশি আল্লাহর কাছে আশ্রয় ও দুয়া চাই। আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’য়ুজুবিকা মিনাল বারছি, ওয়াল জুনুনী ওয়াল জুযামী, ওয়া সায়্যিইল আসক্বাম।

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, March 30, 2020

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৮



        🕑সময় দ্রুত অতিবাহিত হওয়া🕑

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন,
"সেই সময় পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হব না, যতক্ষণ না সময় পরস্পরের খুব কাছাকাছি হয়ে যায়। সে সময় বছর মাসের,মাস সপ্তাহের,সপ্তাহ দিনের, দিন ঘন্টা আর ঘন্টা খেজুরের পাতা বা ডাল প্রোজ্জ্বলনের সময়ের সমান হয়ে যাবে। " (ইবনে হিব্বান,খ. ৫,পৃ. ২৫৬)

হাদীসের অর্থ হল,সময়ের বরকত কমে যাবে। আর সেই বরকত কতটা কমে গেছে তা এই যুগের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সপ্তাহ,মাস,বছর,দিন কোন ফাঁকে চলে যাচ্ছে, টেরই পাওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য দ্বীন -ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন ব্যক্তিরা অবাক হয়ে ভাবে,সময়ের বরকত আবার কী? আগেওও দিন চব্বিশ ঘন্টা ছিল এখনো তাই আছে! সপ্তাহে এখনো পূর্বের ন্যায় সাত দিনই হয়! মাসও তো পূর্বের ন্যায় এ যুগেও ত্রিশ দিনই হয়!

সময়ের বরকতের অর্থ বুঝতে চান? তাহলে ফজত নামাজের পর থেকে রাতে শোওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ে আপনি কী পরিমাণ কাজ করেছেন আর কতটা সময় অযথা বিনষ্ট করেছেন, তার হিসাব করুন। তারপর আপনি সারাটা দিন যে কাজে ব্যয় করেন তা ফজরের নামাজের পর করে দেখুন, সেই কাজটা কত দ্রুত হয়। অল্প সময়ে অনেক কাজ হয়ে যাওয়ার নাম সময়ের বরকত আর দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েও তেমন কোন কাজ করতে না পারাটাই সময়ের বরকতহীনতা। এবার জীবনের প্রতিটি পদে,প্রতিটি ক্ষেত্রে হিসাব করে দেখুন,আমরা সময়ের বরকতহীনতার যুগে বাস করছি কি-না।

No comments:

Post a Comment

Pages